Think Tank

সহিহ ভাবে মেয়েদের নামাজ পড়ার নিয়মটা বললে উপকৃত হব।

আসসালামু আলাইকুম। ধন্যবাদ আপনাদের প্রশ্নের জন্য।  মহিলাদের নামাযের নিয়ম আপনাদের জন্য আপাতত সংক্ষিপ্তাকারে নিম্নে দেয়া হলো। পরবর্তীতে ইন শা আল্লাহ বিস্তারিত বর্ণনা এবং আপনারা যেভাবে দেখতে চাচ্ছেন, সবাই যাতে বুঝতে পারে সেভাবে দেয়া হবে।।   ✅ মহিলাদের নামায পড়ার নিয়ম ওযূ সহকারে ক্বেবলামুখী হয়ে দুই পা মিলিয়ে দাঁড়াবে (শারীরিক গঠনের জন্য দুই পা মিলিয়ে দাঁড়াতে না …

সাদা স্রাব বের হলে কি অজু ভেঙ্গে যায়, ওটা যদি প্যান্ট লেগে থাকে তাহলে ঐ প্যান্ট নিয়ে কি নামাজ পরলে নামাজ হবে না?

আসসালামু আলাইকুম। লিকুরিয়া বা সাদা স্রাব মহিলাদের বিশেষ একটা সমস্যা।যা নির্গত হওয়ার স্থান হলো,যৌনাঙ্গ বা হায়েজের পথ। যা প্রস্রাবের রাস্তা নয়। এই কারণে সাদা স্রাব হলে অযু ভাঙবে না। তবে উত্তেজনাবশত সাদা স্রাব বের হলে অযু ভাঙবে। আপনি নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত সবই করতে পারবেন। কিন্তু সালোয়ার ধৌত করা বা পাল্টিয়ে ফেলা জরুরি নয় তবে উত্তম।  …

একটা আপু বলতেছে চাশতের নামাজ নাকি সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্য পড়তে হয়। সকাল ৮-৯ চাশতের নামাজ পড়লে কি নামাজ আদায় হবে না???

আসসালামু আলাইকুম। চাশতের নামাজ মূলত পড়া হয় মধ্যাহ্ণের আগে অর্থ্যাৎ সূর্য ঠিক মাথার উপর আসার আগে। সেক্ষেত্রে বর্তমান সময় অনুযায়ী  ১১:০০ টা পর্যন্ত এর সময় থাকে। কিন্তু ৮ টা বা ৯ টায় পড়লে আদায় হবে না এমনটি নয়। কারণ ইশরাকের নামাজের পর থেকেই চাশতের নামাজ পড়া যায়।   তথ্যসূত্র – গাউসিয়া তারবিয়াতী নেসাব। (পৃ- ১৮৩)  …

নামাজ পড়া অবস্থায় মাঝে মাঝে বাচ্চা সামনে চলে আসে সিজদাহর স্থানে,সিজদাহ দিতে গিয়ে সমস্যা হয়,সেক্ষেত্রে কী করণীয়?

আসসালামু আলাইকুম । নামাযের আমল বহির্ভুত কিংবা নামাযকে সঠিক করার উদ্দেশ্য ব্যতীত ‘আমলে কাসীর’ করলে নামায ভঙ্গ হয়ে যায়। তবে ‘আমলে ক্বলীল’ করলে নামায ভঙ্গ হয় না। যে কাজটা করলে দূর থেকে দেখলে মনে হয় না যে, ওই ব্যক্তি নামাযে আছে, বরং নামাযে নেই বলেই দৃঢ় ধারণা হয়, সে কাজকে ‘আমলে কাসীর’ বলা হয়, আর …

কাযা নামাজের নিয়ত কি রকম করে পড়ব?

আসসালামু আলাইকুম। ক্বাযা নামাযের নিয়্যত: ফযরের নামায ক্বাযা হলে নিয়্যত এভাবে করবেন- نويت ان اقضي لله تعالي ركعتي صلوة الفجر الفاءتة–فرض الله تعالي متوجها الي جهة الكعبة الشريفة الله اكبر উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন্ আক্বদিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাক্’আতাই সালাতিল ফাজরিল তা-ইতায়ি।ফারদ্বুল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শরীফাতি আল্লাহু আকবর। উল্লেখ্য: যোহরের চার রাক’আত ফরয নামাযের ক্বাযা …

আমি ফজরের নামাজ পড়তে না পারলে,যোহরের সময় কি চার রাকাত পড়তে হবে না কি দুই রাকাত পড়লে হব? 

আসসালামু আলাইকুম। ফজরের নামায ক্বাযা হলে যোহরের সময় ২রাক’আত ক্বাযা পরলে হয়ে যাবে। তবে ২ রাক’আত সুন্নাত ও ক্বাযা করতে পারেন। বি:দ্র:ফর‍য নামাযের ক্বাযা সম্পন্ন করা ফরয।অনুরূপ ওয়াজিব ও সুন্নাতের ক্বাযা সম্পন্ন করা যথাক্রমে ওয়াজিব ও সুন্নাত। তথ্যসূত্র- গাউসিয়া তারবিয়াতী নেসাব।(পৃষ্ঠা:১৮৯ ও ১৯১)

মাসিক শেষ হওয়ার পরে কখন থেকে নামাজ শুরু করতে হয় ???

আসসালামু আলাইকুম । পিরিয়ডের সময়সীমা সর্বনিম্ন ৩ দিন ৩ রাত এবং সর্বোচ্চ ১০ দিন ১০ রাত। ↪️ উক্ত সময়ের মধ্যে যে ওয়াক্তে রক্ত বন্ধ হবে এবং আপনি নিশ্চিত হবেন যে আপনি পবিত্র ঐ ওয়াক্ত থেকেই পাক পবিত্র হয়ে অবশ্যই নামায আদায় করতে হবে। (তবে স্বাভাবিকভাবে নিয়মিত পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে মাঝে মাঝে রক্ত যাওয়া বন্ধ থাকে …

নামাজ কোন কারনে কাযা হয়ে গেলে এগুলা আগে পড়তে হবে না কি ওয়াক্তের গুলা পড়ে তার পরে পড়তে পারব?

আসসালামু আলাইকুম।  কাযা নামায তারতীব অনুযায়ী সম্পন্ন করতে হয়। যেমন, ফযর, যোহর, আসর কাযা হলে প্রথমে ফযর, তারপর যোহর, তারপর আসর এভাবে পড়তে হবে।  তারপর সে মাগরিব পড়বে।  ৫ ওয়াক্ত পর্যন্ত কাযা হলে এ ধারাবাহিক তারতীব পালন করতে হবে।  কারো যে কোন ওয়াক্ত থেকে নামায কাযা হলে আগে কাযা নামায আদায় করে তারপর যে ওয়াক্তের …

 যদি ফজর থেকে শুরু করে এশা পর্যন্ত নামায কাযা হয় তাহলে আমি কয় রাকাত পড়বো? 

আসসালামু আলাইকুম আপু। প্রত্যেক দিনের নামায  ক্বাযা করতে সর্বমোট ২০রাক’আত নামায  আদায় করা ফরয। ফজরের ফরয নামাযের ক্বাযা পড়তে হয় ২ রাক’আত,যোহরের ৪ রাক’আত ফরয,আসরের ৪রাক’আত ফরয, মাগরিবের ৩ রাক’আত ফরয,এশা’র ৪ রাক’আত ফরয এবং বিতরের ৩ রাক’আত ওয়াজিব নামায। উপরিউক্ত ২০রাক’আত নামায সারাদিনের ক্বাযা হিসেবে  আদায় করা ফরয।   বি:দ্র: ফর‍য নামাযের ক্বাযা সম্পন্ন করা …

“আওয়াবীন” নামাজ কি রকম এবং নিয়ত কি রকম?  কিভাবে পড়তে হয়?

আসসালামু আলাইকুম।  ↪️ ‘সালাতুল আওয়াবীন’ বা আওয়াবীনের নামাযের সময়সীমা মাগরিবের নামাযের ফরয ও সুন্নাতের পর হতে শুরু হয়ে এশার ওয়াক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকে। এ সময় দুই রাকআত করে ছয় রাকাআত নফল নামায পড়ার বিধান রয়েছে যার অনেক সওয়াব রয়েছে। তিরমিযী শরীফে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, “ যে ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকআত (আওয়াবীন) নামায …