Prayer (নামাজ)

কাযা নামাজ কি প্রতিদিন পড়া যায় এবং প্রতি ওয়াক্তের সাথে কত দিনের কত কাযা নামাজ পড়া যায় একসাথে?

আসসালামু আলাইকুম। কাযা নামাজের সংখ্যা যদি ৫ ওয়াক্ত বা তার কম হয় তাহলে তারতীব অনুযায়ী সম্পন্ন করতে হয়, যেমন, ফযর, যোহর কাযা হলে প্রথমে ফযর, তারপর যোহর, তারপর আসর এভাবে পড়তে হবে।  কারো যে কোন ওয়াক্ত থেকে নামাজ কাযা হলে আগে কাযা নামাজ আদায় করে তারপর যে ওয়াক্তের নামাজ আসবে তা আদায় করতে হবে। ওই …

ওমরী কাযার নামাজের নিয়মটা কী?

আসসালামু আলাইকুম। ওমরী কাযা নামাজ দুভাবে আদায় করা যায়- ✅ ওমরী কাযা’ পড়ার সময় এ নিয়মও পালন করা যেতে পারে যে,প্রথমে সকল ফজরের নামাজ পড়ে নেবে। তারপর সকল যোহরের  সকল ফরয নামাজ, তারপর  আসরের সকল ফরয নামাজ,তারপর মগরিবের সকল ফরয  নামাজ ও এশারের সকল ফরয নামাজ,তারপর সকল বিতর কাযা করবে। ✅ অথবা প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজের …

তাহিয়্যাতুল অজুর নামাজ কোন সময়ে পড়তে হয়?

আসসালামুআলাইকুম আপু। অযু করার পর অযুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো পরিপূর্ণভাবে শুষ্ক হওয়ার পূর্বে ‘তাহিয়্যাতুল অযু’র নামাজ পড়া মুস্তাহাব বা নফল।  কিন্তু এ প্রকার নফল নামাজ সুবহে সাদিকের পর হতে সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত এবং সূর্য অস্তের পর থেকে মাগরিবের ফরজ নামাজ পড়া পর্যন্ত সময়ে পড়া মাকরূহ। তবে অন্যান্য সময়ে প্রত্যেক অযুর পর তাহিয়্যাতুল অযুর নামাজ সময় ও …

পেটিকোট পড়ে নামাজ পড়লে নাকি সতর দেখা যায়?

আসসালামু আলাইকুম।  নামাজের পূর্বশর্তসমূহের মধ্যে একটি হলো সতর ঢাকা। মহিলাদের মুখমণ্ডল, দুহাতের কব্জি ছাড়া সমগ্র শরীর ঢেকে রাখা ফরজ। তাই পেটিকোট পড়া হোক বা অন্য যে কোন পোশাকে যদি সতর ঢাকা নিশ্চিত থাকে তাহলে নামাজ আদায়ে কোন সমস্যা নেই।   তথ্যসূত্র – গাউসিয়া তারবিয়াতী নেসাব।(পৃ-১৪৩)

ধরেন একটা রুমে আমি নামাজে দাড়ালাম তখন নামাজের দাড়ানো অবস্থায় আমার দরজা লক করা ছিলো তখন আমার নামাজ এক রাকাত হলো তখন সে সময় একটা মানুষ রুমে আসার জন্য আমাকে ডাকছে তখন আমি যদি নামাজ যেভাবে আছে ওইভাবে সে ব্যক্তি কে ওনার সাথে কথা না বলে দরজা খুলে দি আবার ওই যে রাকাতে নামাজ অবস্থায় ছিলাম সে নামাজ টা ওইভাবে আবার নিয়ত ছাড়া যেখান থেকে দরজা খুলতে গেছি ওইখান থেকে নামাজ পড়তে পারবো নাকি???

আসসালামু আলাইকুম। নামাজ ভঙ্গকারী বিষয়সমূহের মধ্যে কয়েকটি হলো- নামাজের আমল বহির্গত কোন কাজ করলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়। আপনি কথা না বললেও হেঁটে গিয়ে দরজা খুলবেন সেটা নামাজের বর্হিভূত কাজ। তাই এরকম কিছু করলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং পুনরায় শুরু থেকে নামাজ পড়তে হবে।  তথ্যসূত্র- গাউসিয়া তারবিয়াতী নেসাব। (পৃ-১৭১)

হাই-কমোড ব্যবহার করলে নামাজ হবে নাকি??

আসসালামু আলাইকুম।  নামাজ পূর্বশর্তসমূহের একটি হলো শরীর পাক। ওযূর প্রয়োজন হলে ওযূ করতে হবে। গোসলের প্রয়োজন হলে গোসল সেরে নিতে হবে। হাই কমোড ব্যবহার করার ফলে যদি শরীরে নাপাকী না লাগে তাহলে কোন সমস্যা নেই। আর যদি সন্দেহ হয় তাহলে শরীরের ওই অংশটুকু বা কোমরের নিচ থেকে পানি দ্বারা ধৌত করে পবিত্রতা অর্জন করে নেয়া …

অনেক সময় আমরা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য যে বিতর রেখেদিলে মাঝে মধ্যে বিতর মিস যাই,,তাহলে আমাদের করণীয় কি?

আসসালামুআলাইকুম। বিতর এর নামাজ হলো ওয়াজিব। তাই ওয়াজিব ভুলক্রমে বা কোন কারণে আদায় করতে না পারলে পরবর্তীতে অবশ্যই কাযা হিসেবে আদায় করে দিতে হবে। তা না হলে গুণাহগার হতে হবে। এছাড়া যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ সালাত আদায়কারী তাদের জন্য তাহাজ্জুদ এর সময় বিতর আদায় করা উত্তম। অন্যথায় এশার সময় বিতর আদায় করে দিলে তাহাজ্জুদ এর সময় …

মহিলাদের যে সাদা স্রাব যায় তা যদি বেশি যায় তবে কি নামাজ পড়া যাবে?

আসসালামু আলাইকুম।  ✓ লিকুরিয়া বা সাদা স্রাব মহিলাদের বিশেষ একটা সমস্যা। যা নির্গত হওয়ার স্থান হলো,যৌনাঙ্গ বা হায়েজের পথ। যা প্রস্রাবের রাস্তা নয়। এই কারণে সাদা স্রাব হলে অযু ভাঙবে না। আপনি নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত সবই করতে পারবেন। তবে উত্তেজনাবশত সাদা স্রাব বের হলে অযু ভাঙবে।  সালোয়ারে বা পরনের কাপড়ে লাগলে ধৌত করা বা পাল্টিয়ে …

নামাজের মধ্যে এক সূরা ২ বার পড়লে যেমন জোহরের ৪ রাকাত সুন্নতে যদি সূরা ইখলাছ পড়া হয় আবার যদি ভুলে ফরযে বা ২ রাকাত নফলে সূরা ইখলাছ পড়ে ফেলে তাহলে কি সিজদায়ে সাহু দিতে হবে?নাকি নামাজ হয়ে যাবে?

আসসালামু আলাইকুম। যে সব বিষয় নামাজে ওয়াজিব, সেগুলো থেকে যদি কোন ওয়াজিব ভুলে বাদ পড়ে যায়, তাহলে সাজদা-ই সাহভ ওয়াজিব। নামাজে ভুলে এক সূরা দুইবার পড়ে ফেললে সাজদা-ই সাহভ ওয়াজিব নয়। বরং ফরয নামাজে প্রথম দু’রাকাতে এবং নফল, বিতর ও সুন্নাতের প্রতি রাকআতে সূরা ফাতেহার সাথে ছোট একটি সূরা অথবা বড় সূরার ছোট তিন আয়াত …

ফজরের নামাজে সূরা ফাতেহার পরের অন্য সূরাটি বড় হতে হবে এমন কোন নিয়ম কি আছে? আর যদি বড় সূরা পড়তে হয় তাহলে কত আয়াতের সূরা পড়বো? বড় সূরা না জানলে কয়েকটি সূরা একসাথে মিলিয়ে পড়া যাবে কিনা?

আসসালামু আলাইকুম। ফরজ নামাজে বড় আয়াত বলতে যে কোন একটি সূরা বা বড় সূরার মোট তিন আয়াত বা তিন আয়াত সমতূল্য এক আয়াত পাঠ করবে।  কিন্তু বড় সূরা না পারলে কয়েকটা সূরা পড়তে হবে ব্যাপারটা এমন নয়।  তথ্যসূত্র – ১. মাওলানা কাসেম রেজা নঈমী সাহেব হুজুর, মুদাররিস, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মহিলা ফাযিল মাদরাসা। ২. গাউসিয়া …