আসসালামু আলাইকুম। যখন কেউ কোন কাজ করার ইচ্ছা করে তখন তার ইস্তিখারাহ করা চাই। এটা যেন আল্লাহর সাথে শলা-পরামর্শ করা। হাদীস শরীফে এর প্রতি তাকীদ দেয়া হয়েছে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমায়েছেন- “ইস্তিখারাহ না করা দুর্ভাগ্য ও হতভাগ্যের পরিচয়”।  সুতরাং কোথাও বিয়ে-শাদী,বাগদান বা সফরের ইচ্ছা করলে ইস্তিখারাহ করা চাই। ইন শা আল্লাহ ফলাফল …

আসসালামু আলাইকুম।  ফরয নামাজে ১ম রাকআতে  দ্বিতীয় রাকআতের চাইতে ক্বেরআত দীর্ঘ করে পড়া উত্তম। তবে সুন্নাত ও নফল নামাজে উভয় রাকআতে সমান সমান সূরা পড়া যাবে৷ তবে দ্বিতীয় রাকআতের ক্বেরআত প্রথম রাকআতের চাইতে দীর্ঘ করা মাক্বরূহ৷  নামাজের জন্য সূরা নির্দিষ্ট করে নেয়া, নামাজে সর্বদা একই সূরা পড়া মাক্বরূহ। কিন্তু যেসব সূরার কথা হাদীসে পাকে উল্লেখ …

আসসালামু আলাইকুম। মহিলাদের জন্য উত্তম হচ্ছে ছেলেদের জামায়াত শেষ হওয়ার পর নামাজ আদায় করা। তবে কোন বিশেষ কাজ থাকলে বা অন্য কোন সমস্যা থাকলে আগেও পড়ে নিতে কোন বাঁধা নেই।    তথ্যসূত্র- মাওলানা কাসেম রেজা নঈমী হুজুর সাহেব।-মুদাররিস, জামেয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া মহিলা ফাযিল মাদ্রাসা।

আসসালামু আলাইকুম। ❌ সুবহে সাদেক্ব থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত ফজরের দু রাকআত সুন্নাত ব্যতীত অন্য কোন নফল নামাজ পড়া জায়েয নয়।  ❌ আসরের নামাজের পর সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত নফল নামাজ পড়া নিষেধ। ❌ সূর্য ডোবার পর থেকে মাগরিবের ফরয পড়া পর্যন্ত নফল নামাজ পড়া জায়েয নয়।   তথ্যসূত্র- গাউসিয়া তারবিয়াতী নেসাব। (পৃ-১৪০)

আসসালামু আলাইকুম। কাযা নামাজের সংখ্যা যদি ৫ ওয়াক্ত বা তার কম হয় তাহলে তারতীব অনুযায়ী সম্পন্ন করতে হয়, যেমন, ফযর, যোহর কাযা হলে প্রথমে ফযর, তারপর যোহর, তারপর আসর এভাবে পড়তে হবে।  কারো যে কোন ওয়াক্ত থেকে নামাজ কাযা হলে আগে কাযা নামাজ আদায় করে তারপর যে ওয়াক্তের নামাজ আসবে তা আদায় করতে হবে। ওই …

আসসালামু আলাইকুম। ওমরী কাযা নামাজ দুভাবে আদায় করা যায়- ✅ ওমরী কাযা’ পড়ার সময় এ নিয়মও পালন করা যেতে পারে যে,প্রথমে সকল ফজরের নামাজ পড়ে নেবে। তারপর সকল যোহরের  সকল ফরয নামাজ, তারপর  আসরের সকল ফরয নামাজ,তারপর মগরিবের সকল ফরয  নামাজ ও এশারের সকল ফরয নামাজ,তারপর সকল বিতর কাযা করবে। ✅ অথবা প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজের …

আসসালামুআলাইকুম আপু। অযু করার পর অযুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো পরিপূর্ণভাবে শুষ্ক হওয়ার পূর্বে ‘তাহিয়্যাতুল অযু’র নামাজ পড়া মুস্তাহাব বা নফল।  কিন্তু এ প্রকার নফল নামাজ সুবহে সাদিকের পর হতে সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত এবং সূর্য অস্তের পর থেকে মাগরিবের ফরজ নামাজ পড়া পর্যন্ত সময়ে পড়া মাকরূহ। তবে অন্যান্য সময়ে প্রত্যেক অযুর পর তাহিয়্যাতুল অযুর নামাজ সময় ও …

আসসালামু আলাইকুম।  নামাজের পূর্বশর্তসমূহের মধ্যে একটি হলো সতর ঢাকা। মহিলাদের মুখমণ্ডল, দুহাতের কব্জি ছাড়া সমগ্র শরীর ঢেকে রাখা ফরজ। তাই পেটিকোট পড়া হোক বা অন্য যে কোন পোশাকে যদি সতর ঢাকা নিশ্চিত থাকে তাহলে নামাজ আদায়ে কোন সমস্যা নেই।   তথ্যসূত্র – গাউসিয়া তারবিয়াতী নেসাব।(পৃ-১৪৩)

আসসালামু আলাইকুম। নামাজ ভঙ্গকারী বিষয়সমূহের মধ্যে কয়েকটি হলো- নামাজের আমল বহির্গত কোন কাজ করলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়। আপনি কথা না বললেও হেঁটে গিয়ে দরজা খুলবেন সেটা নামাজের বর্হিভূত কাজ। তাই এরকম কিছু করলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং পুনরায় শুরু থেকে নামাজ পড়তে হবে।  তথ্যসূত্র- গাউসিয়া তারবিয়াতী নেসাব। (পৃ-১৭১)

আসসালামু আলাইকুম।  নামাজ পূর্বশর্তসমূহের একটি হলো শরীর পাক। ওযূর প্রয়োজন হলে ওযূ করতে হবে। গোসলের প্রয়োজন হলে গোসল সেরে নিতে হবে। হাই কমোড ব্যবহার করার ফলে যদি শরীরে নাপাকী না লাগে তাহলে কোন সমস্যা নেই। আর যদি সন্দেহ হয় তাহলে শরীরের ওই অংশটুকু বা কোমরের নিচ থেকে পানি দ্বারা ধৌত করে পবিত্রতা অর্জন করে নেয়া …