“আওয়াবীন” নামাজ কি রকম এবং নিয়ত কি রকম?  কিভাবে পড়তে হয়?

“আওয়াবীন” নামাজ কি রকম এবং নিয়ত কি রকম?  কিভাবে পড়তে হয়?

আসসালামু আলাইকুম। 

↪️ সালাতুল আওয়াবীন’ বা আওয়াবীনের নামাযের সময়সীমা মাগরিবের নামাযের ফরয ও সুন্নাতের পর হতে শুরু হয়ে এশার ওয়াক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকে। এ সময় দুই রাকআত করে ছয় রাকাআত নফল নামায পড়ার বিধান রয়েছে যার অনেক সওয়াব রয়েছে। তিরমিযী শরীফে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, “ যে ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকআত (আওয়াবীন) নামায আদায় করবে, সে ব্যক্তি একাধারে বারো বছর দিনে রোযা রেখে সারা রত জেগে ইবাদত করার সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।” (সুবহানআল্লাহ)

এ নামাযের ফযীলতের কারণেই বুযুর্গানে দ্বীন নিয়মিত এ নামায আদায় করে থাকেন এবং ভক্ত ও মুরীদদেরকে এ নামায পড়ার তাগীদ দিয়ে থাকেন। 

দু’রাকআত আওয়াবীন নামাযের নিয়্যত –

نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّیَ لِلّٰهِ تَعَالٰی رَكْعَتَیْ صَلٰوةِ الْاَوَّابِيْنَ مُتَوَجِّهًا اِلٰی جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللّٰهُ اَكْبَرُ

উচ্চারণঃ নাওয়াইতু-আন উসোল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রক’আতাই সালাতিল আওয়াবীন, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবর। 

👉নিয়মঃ এ নামাযে সূরা ফাতিহার পর প্রতি রাকআতে তিনবার সূরা ইখলাস পড়ার নিয়মকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কারণ পবিত্র হাদীস শরীফে এসেছে, “যে ব্যক্তি তিনবার সূরা ইখলাস পাঠ করে তাকে এক খতম ক্বোরআন পাঠের সওয়াব দেয়া হয়। সুতরাং প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার সাথে তিনবার সূরা ইখলাস মিলানোর মাধ্যমে এ নামায সম্পন্ন করা উত্তম। 

 

তথসূত্র- গাউসিয়া তারবিয়াতী নেসাব। (পৃ- ১৮৪)