ঈদ উল ফিতর এর নামাজ সম্পর্কে জানতে চাই?
আসসালামু আলাইকুম।
ঈদুল ফিতরের রাত স্বীয় বান্দাদের জন্য আল্লাহর বিশেষ দান বা অনুগ্রহের প্রতীক পঞ্চরাত্রির অন্যতম। আল্লাহর অনুগ্রহ প্রত্যাশীরা এ রাতে তাই ইবাদতে রত থাকেন।
↪️ হযরত আবু উমামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-“যে লোক দুই ঈদের রাতে নির্ঘুম থেকে নামায আদায় করবে তার অন্তর মরবে না,যেদিন অন্যান্যদের অন্তর মরে যাবে।”[ইবনে মাজাহ]
✅এ রাতের জন্য বিশেষভাবে চার রাক’আত (দু’রাক’আত বিশিষ্ট) নফল নামাযের নিয়ম নির্দেশ করা হয়েছে।
নিয়ম: প্রতি রাক’আতে ২১ বার সূরা ইখলাছ দ্বারা দু’ নিয়্যতে এ চার রাক’আত নামায আদায় করবে।
✅ ফযিলত: এ নামায আদায়কারীর জন্য আল্লাহ তা’আলা বেহেশতের আটটি ফটক উন্মুক্ত করবেন এবং দোযখ হতে পরিত্রাণ দিবেন।
↪️হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-“যে ব্যক্তি শাওয়ালের রাতে বা দিনে আট রাক’আত নামায পড়ে, প্রত্যেক রাক’আতে ১বার সূরা ফাতিহা ও ১৫বার সূরা ইখলাছ পড়ে, নামায শেষে ৭০বার ” সুবহানাল্লাহ ” এবং ৭০বার দরুদ শরীফ পড়ে, আল্লাহ তা’আলা সে লোকের অন্তরকে প্রজ্ঞা ও বিজ্ঞতার প্রসবণ করে দেন।মুখের জড়তা দূর করে দেন।তাকে সব সময় নিরোগ রাখেন। তাকে শহীদি মর্যাদা দেয়া হয়।এবং তার সকল গুণাহ মাফ করে দেয়া হবে। এ নামায সফর পড়া হলে তার যাতায়াতের সকল বিষয় সহজ ও অনুকূল করে দেয়স হবে। ঋণগ্রস্থ হলে শোধ করার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।সমস্যায় জর্জরিত হলে সমাধান করে দেয়া হবে।যে নিষ্ঠার সাথে এ নামায আদায় করবে তাকে জান্নাতে একটি বাগান দেয়া হবে।সে বাগানে একটি গাছের নিম্নদেশ একশত বছর সফর করে ও শেষ করা যাবে না।এ নামাযের দরুদ শরীফ হলো — اللهم صلي علي محمد النبي الامي وعلي اله واصحابه وبارك وسلم
আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিন নাবিয়্যিল উম্মী ওয়া আ’লা আলিহী ওয়া আসহাবিহী ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম।
↪️ তাওবার উদ্দেশ্যে নফল নামায:
✅ শাওয়ালের ১ম রাতে ইশার নামাযের পর দু’সালামে চার রাক’আত নফল নামায আদায় করবে।
নিয়ম: প্রত্যেক রাক’আতে সূরা ফাতিহার পর ৩বার করে সূরা ইখলাছ এবং ৩বার করে সূরা ফালাক পড়বে। সালামের পর ৭০বার কালিমায়ে তামজীদ পাঠ করবে।অতঃপর নিজের অপরাধের জন্য তাওবা করবে।
✅ ফযিলত : আল্লাহ তা’আলা এ নামাযের বরকতে তার অপরাধ ক্ষমা করে দিবেন এবং তার তাওবা কবুল করবেন।
↪️ ঈদের দিনের করণীয়:
এদিন দুই রাক’আত ঈদুল ফিতরের নামায আদায় করা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের জন্য ওয়াজিব।বিনা কারণে এ নামায পরিত্যাগ করা গোমরাহি ও বিদ’আত।