যদি পরিবারের কারো সন্তান হলে তাহলে কি বাকিরা নামাজ পড়তে পারবে?? নাকি ১মাস ১০দিন গেলে পড়তে পারবে?
আসসালামু আলাইকুম।
সন্তান জন্মদানের পর যে রক্ত নির্গত হয় সেটিকে নিফাস বলে৷ নিফাসের সর্বসীমা হচ্ছে চল্লিশ দিন। সন্তান জন্মদানের কিছুদিন পর বা চল্লিশ দিন পূর্বে নিফাসের রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে পাক-পবিত্র হয়ে নামাজ-রোজা অবশ্যই পালন করতে হবে। চল্লিশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না। এবং এসব হুকুম শুধু মাত্র নিফাসওয়ালি মহিলার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য৷ পরিবারের অন্য সদস্যদের উপর এসব হুকুম বর্তাবে না। পরিবারের সদস্যগণ এর সাথে প্রসূতি মায়ের অপবিত্রতার কোন সম্পর্ক নেই। নিফাস অবস্থায় মহিলাদের প্রসবাগার অর্থ্যাৎ রুম থেকে বের হওয়া জায়েয। তাদের সাথে খাওয়া দাওয়া করাতে কোন অসুবিধা নেই। কতগুলো অন্যদেশীয় রীতি যেখানে তাদের খানার পত্র পর্যন্ত আলাদা করে দেয়। তাদের শরীরের নাপাকির সাথে জিনিস-পত্র, ঘর-বাড়ির কোন সম্পর্ক নেই৷ এরকম অনর্থক রছম থেকে বিরত থাকা উচিত। যদি কোথাও নাপাকি লেগে থেকে তা ভালো ভাবে ধুয়ে নিলেই পাক হয়ে যায়। অধিকাংশ মহিলা মনে করে নিফাস বন্ধ হওয়ার পরও চল্লিশ দিন পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত নামাজ আদায় করা যাবে না৷ যে সময় নিফাস বন্ধ হবে সে সময় থেকেই গোসল করে নামাজ পড়া আরম্ভ করবে। চল্লিশ দিন অপেক্ষা করতে হবে না।
তথ্যসূত্র- গাউসিয়া তারবিয়াতী নেসাব। (পৃ-১২৬)
বাহারে শরীয়ত। (২য় খন্ড, ১৬৩ পৃ)


