নামাজে সূরার তারতীব সম্পর্কে জানাবেন/কিভাবে পড়া উচিত?

নামাজে সূরার তারতীব সম্পর্কে জানাবেন/কিভাবে পড়া উচিত?

আসসালামু আলাইকুম। 

ফরয নামাজে ১ম রাকআতে  দ্বিতীয় রাকআতের চাইতে ক্বেরআত দীর্ঘ করে পড়া উত্তম। তবে সুন্নাত ও নফল নামাজে উভয় রাকআতে সমান সমান সূরা পড়া যাবে৷ তবে দ্বিতীয় রাকআতের ক্বেরআত প্রথম রাকআতের চাইতে দীর্ঘ করা মাক্বরূহ৷ 

  • নামাজের জন্য সূরা নির্দিষ্ট করে নেয়া, নামাজে সর্বদা একই সূরা পড়া মাক্বরূহ। কিন্তু যেসব সূরার কথা হাদীসে পাকে উল্লেখ আছে সেসব সূরা মাঝে মাঝে পড়া মুস্তাহাব (পছন্দনীয়)। তবে কেউ যেন ওয়াজিব ধারণা না করে। 
  • দুই রাকআতে একই সূরা বারবার পড়া মাক্বরূহে তানযিহী, যদি কোন বাধ্যবাধকতা না থাকে। যদি কোন বাধ্যবাধকতা থাকে, যেমন- অনিচ্ছাকৃত ভাবে প্রথম রাকআতের পঠিত সূরা শুরু করে দিলো বা অন্য কোন সূরার কথা স্মরণে আসছে না, তখন প্রথম সূরা পড়লে মাক্বরূহ হবে না।
  • নফলের উভয় রাকআতে একই সূরা পড়া বা একই রাকআতে একই সূরা বারবার  পড়া মাক্বরূহ বিহীন জায়েয। 
  • ফরজ নামাজে প্রথম রাকআতে কয়েকটি আয়াত পড়ল দ্বিতীয় রাকআতে অন্য জায়গা হতে কয়েকটি আয়াত পড়ল যদিও একই সূরার অন্তর্ভুক্ত মাঝখানে যদি দুই বা ততোধিক আয়াত বাদ পড়ে কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু অপ্রয়োজনে এরূপ করবে না। আর যদি একই রাকআতে  কয়েকটি আয়াত পড়ল অতঃপর কিছু ছেড়ে দিয়ে অন্য জায়গা থেকে পড়া আরম্ভ করল মাকরূহ হবে। ভুলবশতঃ এরূপ হলে পুনরায় পড়বে এবং বাদ পড়া আয়াত পড়বে। 
  • প্রথম রাকআতে কোন সূরার শেষে পড়ল এবং দ্বিতীয় রাকআতে কোন ছোট সূরার প্রথম থেকে পড়লে ক্ষতি নেই।
  • কুরআন শরীফ উল্টো পড়া, যেমন- দ্বিতীয় রাকআতে প্রথম দিকের উপরের সূরা পড়ল এটা মাক্বরূহে তাহরীমি। যেমন- প্রথমে ” সূরা কাফিরুন” পড়ল, দ্বিতীয় রাকআতে  “সূরা ফীল” পড়ল, এর জন্য কঠোর শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। (ভুলক্রমে হলে গুণাহ হবে না, সাহু সিজদাও দিতে হবে না।)
  • ভুলক্রমে প্রথম রাকআতে উপরের সূরা শুরু করে দিল বা একটি ছোট সূরা ব্যবধান হয়ে গেল অতঃপর স্মরণ হল তখন যেটা দিয়ে শুরু করেছে তা পূর্ণ করতে হবে যদিও একটি হরফ পড়া হয়েছে মাত্র। অর্থ্যাৎ যে সূরাটি পড়া শুরু করেছে সেটা পড়া শেষ করতে হবে, তা ছেড়ে দিয়ে অন্য সূরা পড়া যাবে না। 

 

তথ্যসূত্র- বাহারে শরীয়ত। (৩য় খন্ড, পৃ-২০২); গাউসিয়া তারবিয়াতী নেসাব। (পৃ-১৭১)