‘জুমু’আতুল বিদায়’ ওমরী কাযা সম্পর্কে জানতে চাই।
আসসলামু আলাইকুম।
✅ জুমু’আতুল বিদায় ওমরী কাযা নামাযের গুণাহ মাফের জন্য ১২ রাকআত “নফল” নামায এর কথা বলা হয়েছে। অর্থ্যাৎ ২ রাকআত নফল নামাযের নিয়্যত করে করেই ১২ রাকআত আদায় করতে হবে।
✅ উক্ত সূরা গুলি সব প্রতি রাকআতেই পড়তে হবে।
✅ যোহর এবং আসর এর মধ্যবর্তী সময়ে পড়ার কথা বলা হয়েছে।
✅ মুনাজাত ৪ রাক’আত পর পরও করা যাবে অথবা ১২ রাক’আত নামাজ আদায় করেও করা যাবে।
↪️ ‘জুমু’আতুল বিদায়’ ওমরী কাযাঃ
✍️হাকীমুল উম্মত মুফতী আহম্মদ ইয়ার খান আলায়হির রহমাহ্ বর্ণনা করেছেন-
‘জুমু’আতুল বিদা’র দিন অর্থ্যাৎ রমজানের শেষ জুমু’আর দিন যোহর ও আসর নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে ১২ রাক’আত নফল নামায নিম্নলিখিত নিয়মে পড়া যায়-
✅ দু’ দু’ রাক’আতের নিয়্যত করতে হবে। প্রত্যেক রাক’আতে সূরা ফাতিহার পর ১ বার আয়াতুল কুরসী, ৩ বার সূরা ইখলাস, ১ বার সূরা ফালাক্ব ও ১ বার সূরা না-স পড়বেন।
এর ফজীলত হচ্ছে- জীবনে যে পরিমাণ নামায ক্বাযা হয়েছে, তার ক্বাযা হয়ে যাবার “গুণাহ্”, ইন শা আল্লাহ ক্ষমা হয়ে যাবে।
📌এখানে স্মর্তব্য যে, যেসব ফরয ও ওয়াজিব নামায ছুটে গেছে সেগুলোর ক্বাযা তো পড়তেই হবে। তবে ক্বাযা করাও গুণাহ্। আর সেই গুণাহ্ ক্ষমার জন্য এ আমল করলে সুফল পাওয়া যাবে।
তথ্যসূত্র- গাউসিয়া তারবিয়াতী নেসাব। (পৃ-১৯২)