ওমরী কাযার নামাজের নিয়মটা কী?

ওমরী কাযার নামাজের নিয়মটা কী?

আসসালামু আলাইকুম।

ওমরী কাযা নামাজ দুভাবে আদায় করা যায়-

ওমরী কাযা’ পড়ার সময় এ নিয়মও পালন করা যেতে পারে যে,প্রথমে সকল ফজরের নামাজ পড়ে নেবে। তারপর সকল যোহরের  সকল ফরয নামাজ, তারপর  আসরের সকল ফরয নামাজ,তারপর মগরিবের সকল ফরয  নামাজ ও এশারের সকল ফরয নামাজ,তারপর সকল বিতর কাযা করবে।

অথবা প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজের পূর্বে প্রতিদিন ওই ওয়াক্তের নামাজের কাযা আদায় করা, সেটা এক ওয়াক্ত কিংবা সময় থাকলে বেশ কয়েক ওয়াক্ত।

প্রত্যেক দিনের কাযা করতে সর্বমোট ২০ রাক’আত ফরয ফজরের ফরয নামাজের কাযা পড়তে হয়ঃ২ রাক’আত,যোহরের ৪রাক’আত ফরয আসরের ৪ রাক’আত ফরয,মগরিবের ৩রাক’আত ফরয এবং বিতরের ৩ রাক’আত ওয়াজিব নামাজ।

 আর প্রত্যেকবার নিয়্যত করার সময় বলবে-ফজরের কাযা পড়ার সময় ফজরের সর্বপ্রথম যে নামাজ আমার কাযা রয়েছে  তা আমি আদা করছি।যোহর,আসর,মগরিব,এশা ও বিতরের কাযা করার সময়ও প্রত্যেকবার এভাবে বলবে।

(কারণ কাযা যখন আদায় করছেন, তখন ওই কাযা নামাজ আপনার কাছ থেকে আদায় হয়ে যাচ্ছে, তাই প্রত্যেকবার জীবনের প্রথম অমুখ নামাজের কাযা বলতে হবে নিয়্যতে)

 

কাযা নামাজ গোপনে সম্পন্ন করবেন

কাযা নামাজগুলো গোপনে সম্পন্ন করবেন।অন্য কেউ এমনকি পরিবারবর্গ এবং ঘনিষ্ট বন্ধু -বান্ধবের নিকটও প্রকাশ করবে না।তাদের কাউকে এভাবে বলবে যে,আমার অমুক নামাজ কাযা হয়ে গেছে কিংবা আমি ‘ওমরী কাযা’ সম্পন্ন করছি।কেনবা গুনাহর কথা প্রকাশ করাও ‘মাকরূহ-ই-তাহরীমি’ তথা গুনাহর কাজ।

 

 তথ্যসূত্র- গাউসিয়া তারবিয়াতী নেসাব (১৮৮-১৯২ নং পৃষ্টা)

 বাহারে শরীয়ত