সালাতুল লায়ল এর ফযীলত কী? এশার নামাযের পর আদায় করা যাবে নাকি ১২ টার পর পড়তে হবে?

সালাতুল লায়ল এর ফযীলত কী? এশার নামাযের পর আদায় করা যাবে নাকি ১২ টার পর পড়তে হবে?

আসসালামু আলাইকুম।

রাতের বেলা ইশার নামাজের পর যে নফল নামাজ পড়া হয় তাকে সালাতুল লায়ল বা রাতের নামাজ বলা হয়। রাত্রির নফল দিনের নফল থেকে উত্তম। সহিহ মুসলিম শরীফ হতে বর্ণিত- রাসূল (দ) ইরশাদ করেন, ইশার ফরযের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো সালাতুল লায়ল।” এছাড়া বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (দ) এর নিকট সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে রাতের নামাজ। 

রাসূল (দ) আরও ইরশাদ করেন, “রাতে ইশার নামাজ শেষে বকরীর দুধদোহনের সমান সময় অবধি অপেক্ষা করে কতিপয় নামাজ আদায় প্রয়োজন। আর ইশার নামাজের পর ফরয ব্যতিত যাবতীয় নফল নামাজ ‘সালাতুল লায়ল’ হিসেবে ধর্তব্য। এ থেকে বোঝা যায় রাত ১২ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বা শুধু রাত ১২ টার পরের নামাজকেই সালাতুল লায়ল বলা হয় না। বরং ইশার ফরজ নামাজ পরবর্তী সকল নামাজ সালাতুল লায়ল।

🛑বিঃদ্রঃ সালাতুল লায়ল বা রাতের নামাজের একটি প্রকার হলো তাহাজ্জুদ এর নামাজ। ইশার পর রাতে ঘুমানোর পর উঠবে এবং তাহাজ্জুদ পড়বে৷ ঘুমানোর পূর্বে যা পড়া হয়, তা তাহাজ্জুদ নয়। যদি কেউ ইশার পর শুইয়ে থাকে তারপর উঠে নফল পড়ে, তাহলে তাকে তাহাজ্জুদ বলা যাবে। 

তথ্যসূত্র- বাহারে শরিয়ত। (৪র্থ খন্ড, পৃ-৫৯)