সালাতুল তাসবীহ নামায কী শুধু ভোর রাতে পড়া যায়?

সালাতুল তাসবীহ  নামায কী শুধু ভোর রাতে পড়া যায়?

সালাতুল তাসবীহ নামায কী শুধু ভোর রাতে পড়া যায়?

আসসালামু আলাইকুম। 

সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও ঠিক দুপুর- এ তিন সময়ে ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত,নফল, ক্বাযা নামাজ পড়া এবং তিলাওয়াতে সিজদা করা জায়েজ নেই। যদি আসরের নামাজ না পড়ে থাকে, তবে ওই দিনের আসরের নামাজ সূর্যাস্তের  সময় পড়তে পারবে; কিন্তু এতটুকু দেরী করা হারাম; ওই সময়ে আদায়কৃত ওই দিনের আসরের নামাজও মাকরূহ। 

তাছাড়া, এগারটি নির্দিষ্ট সময়ে নফল নামায পড়া নিষেধ, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- 

❎ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয়  পর্যন্ত ফজরের দু’রাকাত সুন্নাত ব্যতীত অন্য কোনো নফল নামাজ পড়া জায়েজ নয়।

❎ আসরের নামাজের পর সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত নফল নামাজ পড়া নিষেধ। 

❎ সূর্য ডুবার পর থেকে মাগরিবের ফর‍য পড়া পর্যন্ত নফল নামাজ পড়া নিষেধ।

নামাজের নিষিদ্ধ তিন সময়ে যেকোনো নামাজ আদায় করা নিষেধ এবং নির্দিষ্ট কিছু সময়ে নফল নামায আদায় করা নিষেধ।

 সুতরাং উক্ত নিষিদ্ধ সময় ব্যতিত বাকি যে কোন সময়ই আপনি সালাতুত তাসবিহ নামাজ আদায় করতে পারবেন।

↪️ সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত সম্পর্কিত হাদিস নিম্নে দেওয়া হল—–

একদা আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপন চাচা হযরত আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে ডেকে বললেন,”চাচা!আমি কি আপনাকে দান করব না?সুসংবাদ দেব না?দশটি মর্তবা লাভের অধিকারী করব না?তা হচ্ছে আপনি যদি চার রাক’আত সালাতুত্তাসবীহ(তাসবীহর নামায)পড়েন তাহলে আল্লাহ তা’য়ালা আপনার বিগত গুনাহ ও আগাম গুনাহ,জানা গুনাহ ও অজানা গুনাহ,ইচ্ছাকৃত,অনিচ্ছাকৃত,প্রকাশ্য গুনাহ ও অপ্রকাশ্য গুনাহ মাপ করে দেবেন।” 

অতঃপর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-“যদি আপনার সামর্থ্য থাকে প্রত্যহ একবার এ নামায পড়ুন।যদি তা না হয় তাহলে প্রত্যেক জুমু’আর দিনে পড়ুন।যদি তাও না পারেন মাসে একবার করে পড়ুন। যদি তাও না পারেন তাহলে বৎসরে একবার পড়ুন। যদি তাও না পারেন তাহলে জীবনে একবার হলেও এ নামায পড়া চাই। (মুসলিম শরীফ)

বিঃদ্রঃ সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়্যত অবশ্যই সুন্নতের নিয়তে করবেন।

📚তথ্যসূত্র- দুররুল মোখতার, গাউসিয়া তারবিয়াতী নেসাবঃ নামাজের নিষিদ্ধ সময়- ১৪০,১৪১ নং পৃষ্ঠা, সালাতুত তাসবিহ-১৮৬ পৃষ্ঠা।