জীবনের কাযা নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে কেউ যদি প্রতি ওয়াক্তের নামাজের আগে কাযা আদায় করতে চাই, নিয়তটা কি কাযা নামাজের নিয়তটা করলে হবে নাকি বাংলা নিয়তটা করতে হবে?
আসসালামু আলাইকুম।
যে ব্যক্তি বালেগ হবার পর যথারীতি পাঞ্জেগানা নামায আদায় করেনি এবং জীবনে তার অনেক ওয়াক্বতের নামায ক্বাযা হয়ে গিয়েছে, এরূপ ব্যক্তি অনুমান করে অতীতের ক্বাযা নামাযসমূহ সম্পন্ন করাকে ‘ওমরী কাযা‘ বলা হয়। এর সহজ নিয়ম এ যে, প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাযের সাথে সমপরিমাণ ফরয নামায ক্বাযা হিসেবে পড়তে থাকা। এভাবে ক্বাযা আদায় করতে করতে যখন নিজ অন্তরে এরূপ সুদৃঢ় ধারণা জাগবে যে, এতদিনে আমার অতীতের জীবনের ক্বাযা নামায আদায় হয়ে গিয়েছে, তখন থেকে ক্বাযা পড়া ত্যাগ করতে হবে। এভাবে ক্বাযা নামায আদায় করে দেয়া প্রত্যেক মুসলমানেরই কর্তব্য। অন্যথায় ক্বিয়ামতের দিন এক ওয়াক্বত নামাযের জন্য দীর্ঘ ৮০ ‘হোক্ববা’ পরিমাণ সময় দোযখের আগুনে জ্বলতে হবে। ১ হোক্ববা মতান্তরে দুনিয়ার পাঁচশত বৎসরের সমান।
📌ওমরী ক্বাযা পড়ার সময় “প্রত্যেকবার” নিয়্যত করার সময় বলতে হবে–
ফজরের ক্বাযা পড়ার সময় – ফজরের সর্বপ্রথম যে নামায আমার ক্বাযা রয়েছে তা আমি আদায় করছি। যোহর, আসর, মাগরিব, এশা ও বিতরের ক্বাযা করার সময়ও প্রত্যেকবারই এভাবে বলবে।
🚫 বি:দ্র: ক্বাযা নামাযগুলো গোপনে সম্পন্ন করবেন। অন্যকেউ, এমনকি পরিবারবর্গ এবং ঘনিষ্ট বন্ধু-বান্ধবের নিকটও বলবে না যে, “আমার ওমুক নামায ক্বাযা হয়ে গিয়েছে বা আমি ওমরী কাযা সম্পন্ন করছি।” কেননা গুণাহর কথা প্রকাশ করাও ‘মাকরূহ-ই তাহরীমী’ তথা গুণাহর কাজ।
↪️ তথ্যসূত্র- গাউসিয়া তারবিয়াতী নেসাব। (পৃ-১৯০,১৯১)